সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের প্রথম নারী সাংবাদিক নূরজাহান বেগম। ১৯২৫ সালে চাঁদপুরের চালিতাতলি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন নূরজাহান বেগম, সওগাত পত্...
সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের প্রথম নারী সাংবাদিক নূরজাহান বেগম।
১৯২৫ সালে চাঁদপুরের চালিতাতলি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন নূরজাহান বেগম, সওগাত পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিন ছিলেন তার পিতা। নূরজাহান বেগম ১৯৪২ সালে সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করে আই.এ ভর্তি হন কলকাতার লেডি ব্রেবোর্ন কলেজে। আই.এ তে পড়ার বিষয় ছিল দর্শন, ইতিহাস ও ভূগোল। তাঁর সহপাঠী ছিলেন শ্রদ্ধেয় জাহানারা ইমাম। পড়াশুনার পাশাপাশি তিনি কলেজে ব্যাডমিন্টন খেলতে পছন্দ করতেন। ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে আই.এ পাশ করে বি.এ-তে ভর্তি হন। ১৯৪৬ সালে বি.এ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাবা মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিন এর কাছে সাংবাদিকতার প্রথম পাঠ নেন। এরপর প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনা শেষ হবার এক বছর আগে ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে বাবাকে সহযোগিতা করার জন্য সওগাত পত্রিকা অফিসে কাজ করতে শুরু করেন। পরীক্ষা শেষে তিনি সওগাত পত্রিকাতে পুরোদমে কাজ শুরু করেন। নাসিরুদ্দিন ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে মাসিক 'সওগাতে' 'জানানা মহল' নামে প্রথম নারীদের জন্য একটি বিভাগ চালু করেন। নাসিরুদ্দিনের উদ্যোগেই ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ২০ জুলাই প্রথম সাপ্তাহিক 'বেগম' পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এই পত্রিকার সর্বপ্রথম সম্পাদক ছিলেন বেগম সুফিয়া কামাল। এই সময় নুউর জাহান বেগম ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে কাজ করা শুরু করেন। এর কিছুদিন পর তিনি বিয়ে করেন রোকনুজ্জামান খান কে। ‘বেগম’ পত্রিকাটি একসময় বাংলাদেশের নারীদের বাজারের তালিকায় থাকতো! ১৯৫০ সালে কলকাতা থেকে সপরিবারে ঢাকায় চলে আসেন। ১৯৫৪ সালে মার্কিন মহিলা সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও সমাজকর্মী মিসেস আইদা আলসেথ ঢাকায় বেগম পত্রিকা অফিস পরিদর্শন করেন। ১৯৫৪ সালের ১৫ই ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে 'বেগম ক্লাব' প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট হন বেগম শামসুন নাহার মাহমুদ, সেক্রেটারি হন নূরজাহান বেগম এবং বেগম সুফিয়া কামাল ছিলেন এর অন্যতম উপদেষ্টা।
তাঁর উল্লেখযোগ্য অর্জনসমূহ,
১৯৯৭ সালে রোকেয়া পদক প্রাপ্তি।
১৯৯৯ সালে গেণ্ডারিয়া মহিলা সমিতি থেকে শুভেচ্ছা ক্রেস্ট লাভ ।
২০০২ সালে ' অনন্যা 'সাহিত্য পুরস্কার অর্জন।
২০০৩ ও ২০০৫ সালে নারী পক্ষ দুর্বার নেটওয়ার্ক ও কন্যা শিশু দিবস উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রাপ্তি।
২০১০ সালে পত্রিকা শিল্পে তাঁর অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক নারী সংগঠন ইনার হুইল ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮ সম্মাননা এবং
২০১১ সালে সাংবাদিকতায় একুশে পদক প্রাপ্তি।
এছাড়াও তিনি সংবর্ধিত হয়েছেন বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ, চট্টগ্রাম লেডিজ ক্লাব, চট্টগ্রাম লেখিকা সংঘ, ঢাকা লেডিজ ক্লাব, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র প্রভৃতি সংগঠনের মাধ্যমে।
১৯২৫ সালে চাঁদপুরের চালিতাতলি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন নূরজাহান বেগম, সওগাত পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিন ছিলেন তার পিতা। নূরজাহান বেগম ১৯৪২ সালে সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করে আই.এ ভর্তি হন কলকাতার লেডি ব্রেবোর্ন কলেজে। আই.এ তে পড়ার বিষয় ছিল দর্শন, ইতিহাস ও ভূগোল। তাঁর সহপাঠী ছিলেন শ্রদ্ধেয় জাহানারা ইমাম। পড়াশুনার পাশাপাশি তিনি কলেজে ব্যাডমিন্টন খেলতে পছন্দ করতেন। ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দে আই.এ পাশ করে বি.এ-তে ভর্তি হন। ১৯৪৬ সালে বি.এ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাবা মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিন এর কাছে সাংবাদিকতার প্রথম পাঠ নেন। এরপর প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশুনা শেষ হবার এক বছর আগে ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে বাবাকে সহযোগিতা করার জন্য সওগাত পত্রিকা অফিসে কাজ করতে শুরু করেন। পরীক্ষা শেষে তিনি সওগাত পত্রিকাতে পুরোদমে কাজ শুরু করেন। নাসিরুদ্দিন ১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দে মাসিক 'সওগাতে' 'জানানা মহল' নামে প্রথম নারীদের জন্য একটি বিভাগ চালু করেন। নাসিরুদ্দিনের উদ্যোগেই ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ২০ জুলাই প্রথম সাপ্তাহিক 'বেগম' পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এই পত্রিকার সর্বপ্রথম সম্পাদক ছিলেন বেগম সুফিয়া কামাল। এই সময় নুউর জাহান বেগম ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে কাজ করা শুরু করেন। এর কিছুদিন পর তিনি বিয়ে করেন রোকনুজ্জামান খান কে। ‘বেগম’ পত্রিকাটি একসময় বাংলাদেশের নারীদের বাজারের তালিকায় থাকতো! ১৯৫০ সালে কলকাতা থেকে সপরিবারে ঢাকায় চলে আসেন। ১৯৫৪ সালে মার্কিন মহিলা সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও সমাজকর্মী মিসেস আইদা আলসেথ ঢাকায় বেগম পত্রিকা অফিস পরিদর্শন করেন। ১৯৫৪ সালের ১৫ই ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে 'বেগম ক্লাব' প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট হন বেগম শামসুন নাহার মাহমুদ, সেক্রেটারি হন নূরজাহান বেগম এবং বেগম সুফিয়া কামাল ছিলেন এর অন্যতম উপদেষ্টা।
তাঁর উল্লেখযোগ্য অর্জনসমূহ,
১৯৯৭ সালে রোকেয়া পদক প্রাপ্তি।
১৯৯৯ সালে গেণ্ডারিয়া মহিলা সমিতি থেকে শুভেচ্ছা ক্রেস্ট লাভ ।
২০০২ সালে ' অনন্যা 'সাহিত্য পুরস্কার অর্জন।
২০০৩ ও ২০০৫ সালে নারী পক্ষ দুর্বার নেটওয়ার্ক ও কন্যা শিশু দিবস উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রাপ্তি।
২০১০ সালে পত্রিকা শিল্পে তাঁর অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক নারী সংগঠন ইনার হুইল ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮ সম্মাননা এবং
২০১১ সালে সাংবাদিকতায় একুশে পদক প্রাপ্তি।
এছাড়াও তিনি সংবর্ধিত হয়েছেন বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ, চট্টগ্রাম লেডিজ ক্লাব, চট্টগ্রাম লেখিকা সংঘ, ঢাকা লেডিজ ক্লাব, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র প্রভৃতি সংগঠনের মাধ্যমে।